পরী টা,
ভালো আছো কী না জানি না, তুমি ভালো থাকো সবসময়, এটাই আপন মনের আকাঙ্খা। হ্যা আমি ভালো আছি...এবার একটু হাসো! আমার এই ভালো থাকার সুখে।
অনেকদিন চিঠি লেখা হয় না তোমায়, হ্যা লিখিনা ঠিকই,তবে মনে মনে যমে থাকে অলেখা শত শত চিঠি।সেই অলেখা চিঠিগুলো না হয় তোমার "হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভব" করার মতো করে বুঝে নিও।
যানো পরী..... তোমায় চিঠি লিখলে আমার ভিতরটা অনেকাংশ হালকা হালকা লাগে, প্রকাশের আনন্দে ভিতরটা বিষাদমুক্ত হয়ে ওঠে।
সকাল সকাল ঘুম ভেঙেই যেন পাগল'টার চিঠি পড়তে পারো, এজন্য গভীর রাতেই লিখছি তোমায়।
তুৃমি নিশ্চয় জেগে নেই, ঘুমুচ্ছো কম্বোল মোড়ানো উষ্ণতায়।
গভীর রাত, জেগে আছে পাগলটা, ঘুম নেই......
তার বুকে অন্ধকারেরা আরাম করে ঘুমুচ্ছে, আর সে জেগে জেগে স্বপ্ন বুনছে, পরীময় সেই স্বপ্ন, মাথার ভিতরে শত শত কল্পনারা খেলা করে, আর বেহায়া স্মৃতিগুলো হঠাৎ কড়া নেরে দৌড়ে পালায়।
পালাবেনা কেন, আমার স্মৃতিগুলো ধীরে ধীরে পরীময় হয়ে উঠছে আজকাল। হুম, ভাবছো বোকামী করছি আমি। দুনিয়াতে কী আর পরী কাছে পাওয়া সম্ভব!
সম্ভব না। স্বপ্ন তো দেখছি আমার পরকালে তোমায় পাবার,দুনিয়াটা না হয় অনুভবেই কাটিয়ে দিলাম।
ঠান্ডা লেগেছে, বুক ভার ভার লাগে, শরীর এ জ্বর ওঠে রাত এ, তখন খুউব ইচ্ছে জাগে মনে- তুমি আমার পোড়া কপালটায় হাত বুলিয়ে দাও।"প্রকৃতি কোন ইচ্ছাই অপূর্ণ রাখে না" কল্পনাতেই অনুভব করি -তোমায় আর তোমার স্পর্শ আমার কপাল'টায়।
আমি নিকোটিন নিই, এটা তোমারর ভীষণ অপছন্দ।
জানো...? ইদানিং নিকোটিন খুব অসহ্য লাগে বুকের ভিতরে। তবুও ভালো আছি... হুম, এবার না হয় একটু হাসো....আমার এই ভালো থাকার সুখে।
মাথা যন্ত্রণা করছে, আজ আরর লিখব না, জমিয়ে রাখলাম পরের চিঠির জন্য।
ভালো থেকো তুমি, সাদিয়াকে আমার স্নেহ দিও আর আমায় দিও তোমার প্রাঞ্জল হাসিমুখ।
_________________________________ইতি
_________________________________পাগল টা।
লেখা:বাশার।
No comments:
Post a Comment