Sunday, January 19, 2020

Small experience

নাগরিক সনদ পত্র উঠানোর জন্য আজ সকাল ১০ টায় সিরাজগঞ্জ সদর পৌরসভা কার্যালয়ে গেলাম। তারপর নাগরিক সনদ পত্রের আবেদন ফর্ম নিলাম,  তারপর জমা দিতে গেলাম,  তারা বললো কাউন্সিলর এর স্বাক্ষর লাগবে। তারপর নিচ তলা থেকে দোতলায় গেলাম কাউন্সিলরদের কক্ষে।

তখন  সরকারী ঘড়িতে সকাল ১০:৪৫ মিনিট,  কাউন্সিলর রা কেউ আসে নি,আমার মতো আরো অনেকেই অপেক্ষা করছিলো সেখানে, কমরেডদের ঘুৃম ভাঙার অপেক্ষা,কখন তারা নাক ডাকা ঘুম ভেঙে অফিসে আসবেন আর আমাদের জীবন সংগ্রামের খাতায় একটা খোচা বসিয়ে দেবেন।অঃপর আমরা ধন্য হবো।

প্রায় দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করলাম তারপর একজন বললেন
-  "মেয়র এর কক্ষে যেতে পারেন, ফ্রি থাকলে স্বাক্ষর করে দিবে,উনি তো আবার ব্যাবসায়িক কাজেই বেশী ব্যাস্ত থাকেন"।
 এটা বলে আমাকে মেয়রের কক্ষটা দেখিয়ে দিলেন।

তারপর মেয়রের কক্ষে গিয়ে আবেদন পত্রটা টেবিল এ রেখে বললাম
 - স্যার আপনার স্বাক্ষর লাগবে।
মেয়র সাহেব বললেন
 - " এটা তো আমার কাজ না, কাউন্সিলর এর কাজ"।
আমি বললাম - স্যার, কাউন্সিলর এখনও আসেন নি অফিসে আর আবেদনে তো "বরাবর মেয়র" লেখা আছে তাই আপনার কাছে আসলাম। তারপর তিনি আবেদন পত্র স্বাক্ষর করতে করতে বললেন
 - " কাউন্সির এর কাজ আমি করে দিচ্ছি, তাহলে ভোট দিয়ে এলাকর প্রতিনিধি বানিয়ে কী লাভ হলো আপনার? (বলার ভঙ্গিতে হসি ছিলো) জবাবে আমি বললাম
- স্যার, ভোট ই তো দিতে পারি নি, জীবন এর প্রথম ভোট ছিলো।
 তারপর তিনি বললেন
 - "আগামী তে দিয়েন আবার"।

 স্বাক্ষর কৃত আবেদন ফর্ম হাতে নিয়ে খুব সাহস নিয়ে ভয়ে ভয়ে আমি বললাম
- স্যার আমাদের দেশে তো ভোট রাতেই কমপ্লিট হয়ে যায়, আমি ভোট দিবো কীভাবে?

তারপর মেয়র সাহেবের আশেপাশে বসে থাকা কর্মীগুলো দাঁত বের করে হেসে উঠলো এবং মেয়র সাহেব নির্বাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো........

অতঃপর আমার প্রস্থান।

-১৯.০১.২০ইং
-পৌরসভা কার্যালয়, সিরাজগঞ্জ সদর।
-বাশার।

No comments:

Post a Comment